শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন

জেলা-উপজেলায় প্রতিনিধি আবশ্যক :
Welcome To Our Website...
প্রধান সংবাদ :
ট্রাম্পের ভাষণের সময় ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি’র দাবি তুলেছেন এমপি আইমান ও কাসিফ দ্রুত দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশ নিবেন তারেক রহমান বরিশাল মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রুস্তম আলী মল্লিকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসনের অভিযোগ বরিশালে সুরুজ গাজী হত্যার নেপথ্যে যুবদল নেতা উলফাত রানা রুবেলের চাঁদাবাজির ভাগ-বাটোয়ারা! বরিশালের ভাটিখানায় কারারক্ষী শহিদুলের প্লান বহিভূত ভবনের বর্ধিত অংশ অপসারণের নির্দেশ চুরি হওয়া ফোন উদ্ধার করে চোরকে পুলিশে দিলেন ববি ছাত্রদল আদালতের নির্দেশের পরও দায়িত্ব বুঝে পাচ্ছেন না বাউফলের হাজী পঞ্চম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরিশাল মহানগরীর ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপিতে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে নাসির উদ্দিন ডাকসুতে আওয়ামী লীগ-জামায়াত ‘আঁতাত’ করে ছাত্রলীগের সব ভোট নিয়ে নিয়েছে শিবির সাংবাদিক ইমরান খান সালামের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বাকেরগঞ্জে মানববন্ধন
বরিশাল রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রাণ কেড়ে নিল শিশুর!

বরিশাল রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রাণ কেড়ে নিল শিশুর!

বরিশাল রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রাণ কেড়ে নিল শিশুর!
বরিশাল রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রাণ কেড়ে নিল শিশুর!


ইউনিভার্সেল নিউজ : বরিশাল নগরীর রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে ডাক্তার তৌহিদুল ইসলাম এর ভুল চিকিৎসায় ছয় মাসের একটি শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিতম্ব থেকে সুঁই বের করতে গিয়ে অস্ত্রোপচারের সময় শিশু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মৃত শিশু তানজিম পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাউকা গ্রামের ফিরোজ খানের ছেলে।
শিশুর মামা রাকিব জানান, মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) বরিশাল নগরীর বান্দ রোডস্থ শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে নিতম্ব থেকে সুঁই বের করতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু হয়। আমার ভাগিনা তানজিমের নিতম্বে ছোট একটি সুঁই ঢুকে। গলাচিপায় এক্সরে করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পটুয়াখালীতে আসেন। সেখানের চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামের কাছে গিয়ে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। গলাচিপা থেকে সোমবার (৩১ জুলাই) তারা প্রথমে শেবাচিমে আসেন। সেখানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার ভয়ে চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামের পরামর্শে তারা নগরীর আগরপুর রোডের মিডটাউন হাসপাতালে ভর্তি হয়।
ডা. তৌহিদুল ইসলাম তাদের জানিয়েছিলেন মিডটাউনে অস্ত্রোপচারের ভালো ব্যবস্থা নেই। রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে জানিয়ে সেখানে পাঠিয়েছেন। ডা. তৌহিদুল ইসলামের পরামর্শে মঙ্গলবার সকালে অপারেশন করতে রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে এসে ভর্তি হন।
শিশুর মামা রাকিব বলেন, অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়ার আগেও আমার ভাগনে খেলা করেছে। এ সময় বাবা ফিরোজ খান চিৎকার করে বলেন, ডা. তৌহিদুল ইসলাম নিজে বলেছেন শিশুটির নিতম্বে একটি সুঁই ঢুকেছে। এটা মেশিনে অপারেশন হবে। এটা কোনো বিষয়ই নয়, ২০ হাজার টাকা জমা দেন বলেই আবার কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাকে শান্ত করে রাকিব বলেন, বরিশালে কয়েকবার এক্সরে করে সুঁইয়ের অস্তিত্ব নিশ্চিত হয়েই এই অস্ত্রোপচারের সিদ্বান্ত নেন চিকিৎসক।
রাকিবের অভিযোগ করে বলেন, আমি ভেতরে ছিলাম। অস্ত্রোপচারের জন্য তানজিমের শরীরে আটবার সুঁই ফুটানো হয়। এরপর কোমরে ইনজেকশন দিলে তানজিম অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
রাকিব বলেন, ডা. তৌহিদুল ইসলাম মেশিনে অস্ত্রোপচার করার কথা বলে হাতে করেছেন। অজ্ঞান শিশুকে কখনো অক্সিজেন দেননি। কাটা স্থানে সেলাই করেননি। তাদের বার বার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা কয়েকজন ওটিতে হাসি-ঠাট্টায় ব্যস্ত ছিলেন। পরে নিচে আমার পরিচিত ফার্মেসির একজনকে নিয়ে এলে আমাকে আর প্রবেশ করতে দেয়নি। কিছু পরেই আমি ভেতরে বোনের চিৎকার শুনতে পাই। ওরা আমার ভাগনেকে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ তোলেন রাকিব হোসেন।
এ ঘটনায় অভিযোগ দেওয়া হবে কি না সেই বিষয়ে এখনো সিদ্বান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন রাকিব।
ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ফজলুল হক বলেন, আমরা ৯৯৯ নম্বরে সংবাদ পেয়ে এখানে ছুটে এসেছি। মৃত শিশু তানজিমের অপারেশন হয়েছিল। শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
এ ঘটনারও সুষ্ঠু তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেন উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুল হক।
হাসপাতাল সূত্রে জানায়, শিশুর অস্ত্রোপচার করেছেন ডা. তৌহিদুল ইসলাম। কিন্তু শিশুটিকে অজ্ঞান করেছেন ডা. মনিরুল ইসলাম।
শিশুকে এনেসথেসিয়া দেওয়া চিকিৎসক ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত, হৃদয় বিদারক। ছয় মাস বয়সী একটি শিশুকে অজ্ঞান করা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু শিশুটির জরুরি অস্ত্রোপচারও প্রয়োজন। তাই ঝুঁকি নিতে হয়েছে। এজন্য আমার ১৬ বছরের চিকিৎসা পেশায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু অস্ত্রোপচারের শেষ মুহূর্তে এসে শিশুর হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। আমরা হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারেনি। এখানে আমাদের চেষ্টার কোনো ঘাটতি ছিল না।
ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অস্ত্রোপচার সাকসেসফুল হয়েছে। কিন্তু বেডে দেওয়ার আগ মুহূর্তে শ্বাস চলছিল না। এরপর অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক অনেক চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এখানে আমাদের কিছু করার ছিল না।’


Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved ©2022-2025 universalnews24.com
Design By Ahmed Jalal.
Design By Rana